বিশ্ব বানিজ্য এখন অনলাইন মার্কেটিং নির্ভর। তাই আউটসোর্সিং এর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি ভালো পদ্ধতি। মুলত এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক পদ্ধতি যেখানে কোম্পানী বা প্রতিষ্টান কিংবা মার্চেন্টরা কোনো থার্ড-পার্টি পাবলিশারদেরকে কোনো সেবা বা প্রডাক্টকে মৌখিক বা অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করার প্রচার করার অনুমতি দেয় এবং প্রচারণার জন্য সেই থার্ড-পার্টি পাবলিশারদেরকে বিশেষ শর্তে লিড জেনারেশন এর জন্যে কমিশন দিয়ে থাকে।
সহজ ভাবে বললে আপনার মার্কেটিং দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে বড় বড় কোম্পানির প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে সেল করার প্রক্রিয়া হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং / অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?
নিজেকে তৈরি করুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এটি কিভাবে কাজ করে এবং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো কী তা বোঝার জন্য নিজেকে তৈরি করুন। এটি আপনাকে কি করতে হবে এবং আপনি কী ধরণের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে চান তা বুঝতে সাহায্য করবে।
এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বাছাই করুন: আপনি যে পণ্য বা সেবা প্রচার করতে চান তা নিয়ে ভালো একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বাছাই করুন। বিভিন্ন কোম্পানি বা মার্চেন্টরা বিভিন্ন শর্তাবলী দিয়ে থাকে এছাড়া কমিশনেও কম বেশি থাকে। তাই ভালো ভাবে খোজ খবর নিন এবং তাদের টার্মস এবং কন্ডিশন ভালো ভাবে পড়ে নিন।
তবে আমার মতামত চাইলে আমি আপনাকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাজেষ্ট করবো এর জনপ্রিয়তা এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে সব সময়ই আকাশচুম্বী। এছাড়াও Alibaba, Theme forest, eBay সহ প্রায় সব বড় বড় কোম্পানি এফিলিয়েট কমিশন দিয়ে থাকে।
এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করুন: এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করতে পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য যে প্রতিষ্টানের বা মার্চেন্টের এফিলিয়েট হতে চান তাদের অফিসিয়াল সাইটে সাইন আপ করুন। এফিলিয়েটের জন্য যদি কোনো বাড়তি ফর্মালিটি থাকে তবে সেগুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করুন।
প্রোডাক্ট বাছাই করুন: ফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পর, আপনি কেমন সামগ্রী বা প্রোডাক্ট লোকেদের সাথে শেয়ার করবেন সেটা আগে আপনাকে সতর্কতার সাথে বাছােই করতে হবে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলো আছে যেগুলো চাহিদা বর্তমানে প্রচুর সেগুলো বাছাই করুন। গরম কালে সেল করার জন্য কম্বল বাছাই করা যাবে না। সময়ের সাথে বাজারের সাথে বুঝে কখন কোনটার চাহিদা সেটা আপনাকে দক্ষতা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
রেফারেল লিংক: সাইন আপ করার পর যে সকল প্রডাক্ট আপনি সেল করবেন সেগুলোর শেয়ারিং লিংক বা এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করুন। ই, এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে লোকেরা আপনার শেয়ার করা প্রোডাক্টের অফিসিয়াল পেজে চলে আসবে। এরপর প্রডাক্ট পারসেস করলে আপনার একাউন্টে কমিশন যোগ হবে।
উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যমে প্রচারণা: আপনি রেফারেল লিংক টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। তবে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে আপনার একটি ব্লগ থাকা। আপনার একটি সাইট থাকলে সেটার মাধ্যমে আপনি লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনি চাইলে ইউটিউবের চ্যানেল, ফেসবুক পেজ বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া পেজও ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ব্লগ বা ইউটিউবের চ্যানেলে অনেক ট্রাফিক, ভিজিটর বা লাইক থাকতে হবে।
কারণ আপনি আপনার ব্লগ এ শেয়ার করলেন কিন্তু সেখানে কোনো ভিজিটর নেই তবে আপনার কেনার মতো ক্লাইন্টও সেখানে নেই।
অডিয়েন্স বাছাই করুন: এখন পাঞ্জাবে গিয়ে তাদের মুখে বড় বড় দাড়ি দেখে সেখানে সেলুন খুললে হবে না। তারা দাড়ি কাটবে কিনা এটা আগে জানা জরুরি। তেমনি আপনি কোথায় affiliate link শেয়ার করছেন, তাদের এটা সম্পর্কে আগ্রহ আছে কিনা এটাও আপনাকে বুঝতে হবে। মুসলমানদের গ্রুপে গিয়ে ধুতি বিক্রির affiliate link শেয়ার করলে হবে না।