গোসলের সময় কিংবা সাতার কাটতে অসতর্কতায় কানে পানি চলে যেতে পারে। কানে পানি থেকে গেলে কান পাকা ও তীব্র ব্যথাসহ নানান রকমের শারীরিক সমস্যার কথা আমার অহরহ শুনে থাকি। ইনফেকশনও হয়ে যতে পারে। ফলে এ বিষয়টি সাধারণভাবে নেওয়া মোটেও ঠিক নয়। তাই নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি তাৎক্ষনিক কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কান কাত করে ঝাঁকাতে পারেন: আমরা আমাদের ছোটবেলায় বড়দের থেকে অনেক কিছুই শিখে থাকি। যেমন কানে পানি ঢুকে গেলে সাথে সাথে মুরুব্বিরা কান কাত করে ঝাঁকাতে বলতেন। সেই সাথে দাঁতে দাঁতে কাটতে বলতেন। এটা কিন্তু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এটা করতে পারেন। এতে কানের পানি অনেক টা বের হয়ে আসে।
শ্বাস নিন: প্রথমে আপনি কিছুটা সময় নিয়ে লম্বা শ্বাস নিন। এরপর দুই আঙুল দিয়ে নাকের ফুটো বন্ধ করে দিন। এটা পানি কানে আরও গভীরভাবে চলে আসার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
বন্ধ নাক দিয়ে নিঃশ্বাস ফেলুন: নাকের একটি দিক বন্ধ করে দিন এবং অপর দিক দিয়ে নিঃশ্বাস ফেলুন। এটি পানি বের আসার সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করে।
চুইংগাম চিবান: হাতের কাছে যদি চুইনগাম থাকে তবে কানে পানি গেলে চুইংগাম চিবাতে থাকুন। এতে কান থেকে পানি বের হয়ে আসে।
মাথাটি কাত করে ধরুন: যে কানে পানি ঢুকেছে, সেদিকে মাথা কাত করে করুন। আপনার এক হাতের তালু অন্য কানের উপরে রেখে চাপ দিন দিয়ে হাতটি সরিয়ে নিন। দেখবেন খানিকটা পানি বের হয়ে যাবে। এভাবে বেশ কয়েকবার করতে থাকুন।
হেটার ড্রায়ার ব্যবহার করুন: যে কানে পানি ঢুকেছে সে কানের কমপক্ষে এক ফুট দূরত্ত্ব হতে একটি হেটার ড্রায়ার একদম লো’তে একবার সামনে একবার পিছনে করে কানে হালকা তাপ দিতে পারেন। এটি সামান্য তাপমাত্রা প্রদান করবে এবং পানি বাষ্প করতে সাহায্য করবে। তবে এক নাগারে কানের দিকে তাক করে রাখবেন না।
দেখভাল ও চিকিৎসা: উপরোক্ত পদক্ষেপগুলি পানি বের আসার সাথে সাথে আপনার কানের অবস্থা খানিকটা আরামদায়কও কাজ করতে পারে, তবে যদি সমস্যা বেড়ে যায় কিংবা যদি কোনো উপকার না হয় তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।